মঙ্গলবার ৩০শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম
রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থির

অধিকাংশ দোকানে নেই মূল্য তালিকা

শহীদুল্লাহ্ কায়সার ॥   |   সোমবার, ০৬ মে ২০১৯

অধিকাংশ দোকানে নেই মূল্য তালিকা

রমজান মাস যতোই ঘনিয়ে আসছে ততো অস্থির হয়ে উঠছে শহরের ভোগ্যপণ্যের বাজার। একদিন একটি পণ্যের দাম এক ধরনের হলেও পরদিন সেই দামে আসছে পরিবর্তন। তবে, দাম কমার ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন আসছে না। প্রতিদিনই বাড়ছে কোন না কোন পণ্যের দাম।
ছোলা, ডালের মতো ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি আদা, রসুন থেকে শুরু করে মাংস পর্যন্ত রয়েছে এই তালিকায়। বিক্রেতারা যে যার ইচ্ছে মতো বিক্রি করছেন পণ্য। বড়বাজারের এই চিত্র। শহরের অন্যান্য বাজার এবং এলাকার চিত্র আরো খারাপ। বড় বাজারের চেয়ে বেশি মূল্যে সেখানে বিক্রি হচ্ছে ভোগ্য পণ্য।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শহরের মুদি দোকানগুলোতে মূল্য তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু শহরের বড় বাজারের জন্য যেন তা প্রযোজ্য নয়। বাজারের অধিকাংশ দোকানেই টাঙানো হয় না পণ্যের মূল্য তালিকা। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটগণ কয়েকটি দোকানকে জরিমানা করলে কিছুদিন পরিস্থিতি ভালো থাকে। এরপরই আবার সেই পুরনো অবস্থা বিরাজ করে।
বড়বাজারের অধিকাংশ দোকানেই রয়েছে মূল্য তালিকার বোর্ড । কিন্তু দোকানদাররা সেই বোর্ড সামনে রাখেন না। মাঝে মাঝে বিভিন্ন সরকারি অভিযানে লোক দেখানো তালিকা টাঙিয়ে দেন।
গতকাল ৫ মে সন্ধ্যায় বড় বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের বৃহৎ কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দোকান ছাড়া কোন দোকানের সামনেই নেই মূল্য তালিকা। এই তালিকায় রয়েছে খোদ দোকান মালিক ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাক আহমদের মালিকানাধীন মোস্তাক ট্রেডার্স। কয়েকটি দোকানে তালিকা টাঙানো হলেও তাতে রয়েছে মুল্যের হেরফের। মূল্য হেরফেরের পাশাপাশি খুবই কম সংখ্যক পণ্যের মূল্য লিপিবদ্ধ রাখা হয়েছে এসব তালিকায়।
বাজারের এক দোকানদারের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, রমজান উপলক্ষে আদা, রসুন, পিঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। একসপ্তাহ আগেও যেখানে ১ কেজি আদা বিক্রি হতো ৯০ টাকায়। সেখানে গতকাল তা বিক্রি করা হচ্ছে ১২০ টাকায়। ৯৫ টাকা কেজির রসুনও একসপ্তাহের ব্যবধানে হয়েছে ১২০ টাকা।
মাংসের বাজারের অবস্থাও একই । এক কেজি খাসির মাংস গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়। হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা। ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। পাকিস্তানি (কক্) মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজিতে ২৫০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি করা হয়েছে প্রতি কেজি ৫৫০ টাকায়।

Comments

comments

Posted ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৬ মে ২০১৯

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com